আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর শেষে ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে ব্রিফ করেছেন। এতে উঠে এসেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দিকনির্দেশনা এবং শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই প্রেক্ষিতে ভারত তার ঐতিহ্যবাহী কূটনৈতিক নীতি বজায় রেখেছে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: জনগণের প্রাধান্য
বিক্রম মিশ্রির বক্তব্য অনুসারে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের ওপর গুরুত্বারোপ করে, কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তিতে নয়। এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার ইঙ্গিত দেয়।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম:
ভারতে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচালনা করেছেন বলে জানানো হয়েছে। বিক্রম মিশ্রি নিশ্চিত করেছেন, ভারত সরকার তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ দেয়নি।
সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা:
ব্রিফিংয়ের সময় সংসদ সদস্যদের প্রশ্নবাণে বিক্রম মিশ্রিকে জর্জরিত করা হয়। বিশেষত, শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় ভারতে অবস্থান করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চ্যালেঞ্জ:
১. কূটনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রাখা।
২. রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নীতি প্রণয়ন।
৩. তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এড়িয়ে চলা।
শশী থারুরের প্রতিক্রিয়া:
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিষয়ে এক বিস্তৃত ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে তিনি এর বিস্তারিত প্রকাশ করতে অপারগ।
বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ:
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কেবল রাজনৈতিক নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন দিগন্তে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনার কার্যক্রম এবং ভারতীয় কূটনৈতিক নীতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
Leave a Reply