আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
নির্বাচন কমিশনের সামনে এক ডজন চ্যালেঞ্জ
নতুন নির্বাচন কমিশনকে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণে একাধিক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। নির্বাচন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি, এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১. নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার: নির্বাচন কমিশনের কাছে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো সংস্কার করা।
২. রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি: সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে আস্থাশীল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
৩. অদৃশ্য চাপমুক্ত নির্বাচন: সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে অদৃশ্য চাপমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।
৪. প্রশাসন পুনর্গঠন: প্রশাসনের মধ্য থেকে দলীয়করণ রোধ করে দক্ষ প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।
আরো পড়ুন- ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ডাকা হয়েছে শাহাদাত হোসেন দিপুকে
ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুজনের সম্পাদক, বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত না করলে কমিশনের পক্ষে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা কঠিন হবে।
জোনায়েদ সাকি, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী, বলেন, নির্বাচন কমিশনকে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পায়।
ডা. সাজেদুল হক রুবেল, সিপিবির নেতা, উল্লেখ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশনের উচিত সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নির্ধারণ করা। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির পাশাপাশি, সীমানা পুনর্গঠন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির মতো বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনই নতুন নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জন ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা কমিশনের সাফল্যের মাপকাঠি হয়ে দাঁড়াবে।
Leave a Reply