আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ডাকা হয়েছে শাহাদাত হোসেন দিপুকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কুঁচকির চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আসন্ন টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন।জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে ২২ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপুকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালীন কুঁচকির চোট পান বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত। ম্যাচের শেষের দিকে ফিল্ডিং করতে না পেরে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। তার চোটের কারণে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা শুরু থেকেই ছিল। পরে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করে যে, শান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে পারবেন না।
অধিনায়কের চোটে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দিপু। ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি ব্যাটারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। ওই সিরিজে তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের টেস্ট জার্সি পরেছিলেন। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত সিরিজেও তাকে টেস্ট স্কোয়াডে দেখা যায়। তবে, এরপর তাকে আর দলে দেখা যায়নি। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ তিনটি টেস্ট সিরিজে তিনি স্কোয়াডের বাইরে ছিলেন। এবার শান্তর অনুপস্থিতির কারণে তার কপাল খুলেছে।
জাতীয় দলের হয়ে শাহাদাত হোসেন এখন পর্যন্ত চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। আট ইনিংসে তার সংগ্রহ মাত্র ১১৮ রান, যার গড় ১৪.৭৫। এখনও নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তার সর্বোচ্চ রান ৩১, যা তিনি করেছিলেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে। প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২২ নভেম্বর অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্টের আয়োজন করা হবে ৩০ নভেম্বর জ্যামাইকায়।
এই সিরিজটি বাংলাদেশ দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তাই দলে নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতি বড় একটি ধাক্কা হলেও শাহাদাত হোসেনের মতো তরুণদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করার সুবর্ণ সুযোগ। বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াডে নতুন মুখদের প্রতি দলীয় কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের বিশেষ নজর থাকবে, যাতে তারা চাপ সামলে ভালো পারফর্ম করতে পারে।
শাহাদাত হোসেন দিপুর জন্য এই সুযোগটি ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো হতে পারে। জাতীয় দলে ফিরে আসার মাধ্যমে তিনি তার সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন। তার প্রতি দর্শক ও ক্রিকেট বিশ্লেষকদের বিশেষ দৃষ্টি থাকবে, বিশেষ করে তার ব্যাটিং পারফরম্যান্সের দিকে।
সামনের মাসের এই সফরে বাংলাদেশ দলের বোলিং এবং ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে বিসিবির কৌশল নির্ভর করবে নতুন খেলোয়াড়দের ওপর। দলে শাহাদাতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যেতে পারে, তবে ক্রিকেটপ্রেমীরা আশা করছেন তিনি মাঠে ভালো পারফর্ম করবেন এবং দলের প্রয়োজনে নিজেকে মেলে ধরবেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে চোট সমস্যা নতুন কিছু নয়। নাজমুল হোসেন শান্তর মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে হারানো নিঃসন্দেহে দলটির জন্য বড় ধাক্কা। তবে, এই অভাব পূরণে শাহাদাত হোসেন দিপুর মতো তরুণ প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়া ইতিবাচক। তাদের পারফরম্যান্সই বলে দেবে তারা কতটা প্রস্তুত জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে।
আরও জানুন …….. আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি হাইকোর্টে রিট
Leave a Reply