আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
এই আক্রমণের সঙ্গে জড়িত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, যা ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে সতর্ক সাইরেন বাজানো শুরু হয় এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শত্রু ড্রোন অথবা যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ার কারণে সতর্কতা জারি করা হয় এবং জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়। তবে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত হয়, যেখানে অনেকে দাবি করেন, এটি যুদ্ধবিমান নয়, বরং ড্রোন ছিল, যা হাইফার দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, হিজবুল্লাহ একাধিক ড্রোন ব্যবহার করে এই আক্রমণ চালিয়েছে। এক ড্রোন নাহারিয়া এলাকার একটি কারখানায় আঘাত হানে, যা ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী তাদের আকাশসীমায় প্রবেশকারী ড্রোনগুলোর মধ্যে একটি ড্রোন সফলভাবে ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়।
আরো জানুন- প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে যে ১০টি উপকার পাবেন
ইসরায়েল বেশ কিছুদিন ধরেই লেবানন সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, কারণ হিজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রম বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে সতর্ক সাইরেনের আওয়াজে ইসরায়েলের জনগণ আরও বেশি সজাগ হয়ে পড়েছে। সীমান্ত রক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইডিএফ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইসরায়েল এবং লেবাননের মধ্যে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বহু বছর ধরে চলে আসছে, তবে এ ধরনের ড্রোন হামলা পরিস্থিতিকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ ধরনের আক্রমণের ফলে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
এই ধরনের আক্রমণ ইসরায়েলের জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও বড় সংঘর্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল কৌশলগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে এবং লেবাননের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চাইতে পারে।
Leave a Reply