কত ধরনের রোগ আছে ?
কত ধরনের রোগ আছে ? রোগের সংখ্যা এবং ধরন অনেক বেশি, কারণ বিভিন্ন কারণে এবং প্রভাবের ফলে রোগগুলো সৃষ্টি হয়। তবে সাধারণভাবে রোগগুলোকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। কিছু মূল ধরন উল্লেখ করা হলো:
১. সংক্রামক রোগ (Infectious Diseases):
এই ধরনের রোগ জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, বা পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট হয়। উদাহরণ:
- ইনফ্লুয়েঞ্জা (Flu)
- যক্ষ্মা (Tuberculosis)
- ম্যালেরিয়া (Malaria)
- কভিড-১৯ (COVID-19)
২. অসংক্রামক রোগ (Non-Infectious Diseases):
এই ধরনের রোগ সংক্রমণ ছাড়াই হয় এবং সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়। উদাহরণ:
- ডায়াবেটিস (Diabetes)
- উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension)
- ক্যান্সার (Cancer)
- হৃদরোগ (Heart Disease)
৩. জিনগত বা বংশগত রোগ (Genetic or Hereditary Diseases):
এই রোগগুলো জেনেটিক মিউটেশন বা বংশগত কারণে হয়। উদাহরণ:
- থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia)
- সিস্টিক ফাইব্রোসিস (Cystic Fibrosis)
- ডাউন সিন্ড্রোম (Down Syndrome)
৪. মানসিক রোগ (Mental Disorders):
এই ধরনের রোগ মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনোজাগতিক সমস্যার কারণে সৃষ্টি হয়। উদাহরণ:
- বিষণ্ণতা (Depression)
- সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia)
- বাইপোলার ডিসঅর্ডার (Bipolar Disorder)
- অ্যাংজাইটি (Anxiety Disorder)
আরো পড়ুন- হাঁটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে?
৫. স্বাস্থ্যকর জীবনধারার রোগ (Lifestyle Diseases):
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল গ্রহণ এবং শারীরিক নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই ধরনের রোগ হয়। উদাহরণ:
- স্থূলতা (Obesity)
- টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes)
- হৃদরোগ (Heart Disease)
- লিভারের সমস্যা (Liver Disease)
৬. স্বয়ংক্রিয় প্রতিরোধকারী রোগ (Autoimmune Diseases):
এ ধরনের রোগে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিজেই নিজের বিরুদ্ধে কাজ করে। উদাহরণ:
- লুপাস (Lupus)
- রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস (Rheumatoid Arthritis)
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (Multiple Sclerosis)
৭. প্রদাহজনিত রোগ (Inflammatory Diseases):
প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন থেকে সৃষ্টি হওয়া রোগ। উদাহরণ:
- আন্ত্রিক প্রদাহ (Inflammatory Bowel Disease)
- আথ্রাইটিস (Arthritis)
৮. অধঃপতনজনিত রোগ (Degenerative Diseases):
বয়স বা অন্যান্য কারণে ধীরে ধীরে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। উদাহরণ:
- আলঝেইমার (Alzheimer’s Disease)
- পার্কিনসন্স (Parkinson’s Disease)
- অস্টিওআর্থ্রাইটিস (Osteoarthritis)
৯. আঘাতজনিত রোগ (Traumatic Diseases):
শারীরিক আঘাতের কারণে সৃষ্ট রোগ। উদাহরণ:
- ফ্র্যাকচার (Bone Fracture)
- মস্তিষ্কের আঘাত (Traumatic Brain Injury)
১০. এলার্জি ও সংবেদনশীলতা সম্পর্কিত রোগ (Allergic and Hypersensitivity Diseases):
এই রোগগুলো শরীরের অতিরিক্ত সংবেদনশীলতার কারণে সৃষ্ট হয়। উদাহরণ:
- অ্যাজমা (Asthma)
- ফুড অ্যালার্জি (Food Allergy)
- অটোপিক ডার্মাটাইটিস (Atopic Dermatitis)
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক বিশেষায়িত ধরনের রোগ রয়েছে।
Leave a Reply