আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সোমবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহ সদরদপ্তরের কমান্ডার সুহাইল হুসেইন হুসেইনিকে তারা হত্যা করেছে ।
সুহাইল হুসেইন হুসেইনি হিজবুল্লাহর বিভিন্ন ইউনিটে অস্ত্র সরবরাহ করতেন। ইরান থেকে আসা এসব অস্ত্র তিনি বিভিন্ন সেক্টরে বিতরণ করতেন, যা হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তার মৃত্যু হিজবুল্লাহর জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে হুসেইনের মৃত্যুর ঘটনায় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি। এটি তাদের ভেতরকার প্রতিক্রিয়া এবং নিরাপত্তা পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ কি এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত হচ্ছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আলোচনা শুরু করেছেন।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর, ইসরায়েলি বাহিনী বৈরুতে অতর্কিত বোমা হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করার দাবি করে। এছাড়া হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি কাশেমও ইসরায়েলি হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনাগুলো ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান উত্তেজনার আরও বাড়তি প্রমাণ।
আরও জানুন –এক বছরে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা প্রদানে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড পরিমাণ ব্যয়
হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, ইরানের সম্পৃক্ততা এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে এই ঘটনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর এই সাম্প্রতিক হামলার ফলে হিজবুল্লাহর সামরিক শক্তি দুর্বল হতে পারে। তবে, হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে যদি কঠোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। এছাড়া, এই ঘটনার ফলে লেবাননের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও পরিবর্তন আসতে পারে, যা দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করবে।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহর সিনিয়র কমান্ডার সুহাইল হুসেইন হুসেইনির হত্যার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশা করছে, এই সংকট দ্রুত সমাধান হবে, যাতে এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। তবে, সংঘাতের তীব্রতা এবং পরিণতি নিয়ে অন্ধকার মেঘ এখনও বিরাজমান।
এই অবস্থায় নজর রাখতে হবে ইরান, ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর কর্মকাণ্ডের ওপর, কারণ এগুলো ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
Leave a Reply