আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
নাটকীয় টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে নেপাল
গতকাল এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জয়ী হয়ে নেপাল দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে। পুরো ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করলেও নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ সমতা থাকায় ম্যাচটি গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে নেপালের গোলরক্ষকের অসাধারণ সেভ এবং ফরোয়ার্ডদের সাহসী পারফরম্যান্স নেপালকে জয় এনে দেয়।
ম্যাচের শুরু থেকেই জমজমাট খেলা
কাঠমান্ডুর দাশরথ স্টেডিয়ামে সমর্থকদের উল্লাসে মুখর ছিল পরিবেশ। শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করে, যেখানে নেপালের ফরোয়ার্ডরা বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সক্ষম হলেও ভারতের ডিফেন্স তাদের আটকে রাখে। খেলার ৩০ মিনিটে ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার প্রীতি শর্মা একটি শক্তিশালী শট নিয়ে গোল করার চেষ্টা করলেও নেপালের গোলরক্ষক অসাধারণ দক্ষতায় তা প্রতিহত করেন।
প্রথমার্ধের শেষে গোলের স্বাদ
প্রথমার্ধের শেষের দিকে নেপালের পক্ষ থেকে গোল আসে। ৪২তম মিনিটে নিসা রায়ের ক্রস ধরে ফরোয়ার্ড মঞ্জু রাণী সিং একটি দুর্দান্ত শট নেন, যা ভারতীয় গোলরক্ষক প্রতিহত করতে ব্যর্থ হন। দর্শকদের মধ্যে নেপালের সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়েন, এবং প্রথমার্ধ শেষ হয় নেপালের ১-০ লিডে।
ভারতের কামব্যাক এবং ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানো
দ্বিতীয়ার্ধে ভারত ফিরে আসে আরও শক্তিশালীভাবে। ভারতীয় দলের আক্রমণাত্মক খেলা নেপালের ডিফেন্সকে বিপাকে ফেলে। ৭৫তম মিনিটে ভারতীয় ফরোয়ার্ড মিতালি দেবী নেপালের রক্ষণভাগ ভেদ করে গোল করেন, যা দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও কোনও দল গোল করতে না পারায় ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়।
টাইব্রেকারে নেপালের বিজয়
টাইব্রেকারে নেপালের খেলোয়াড়রা ঠাণ্ডা মাথায় শট নেন, এবং ভারতের দু’টি শট মিসের কারণে জয় পায় নেপাল।
এই জয়ে নেপাল দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে পৌঁছে গেছে এবং এবার তারা বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে, যাদের সঙ্গে গত বছরও ফাইনাল খেলে হেরেছিল।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বর্তমানে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে, যেখানে সিনিয়র-জুনিয়র বিতর্ক দূরে রেখে দলটি দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়েছে, যা তাদের শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং শিরোপা ধরে রাখার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ।
এই অর্জনে দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা যেমন ভূমিকা রেখেছেন, তেমনই নতুনরা নিজেদের প্রতিভা ও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছেন। এই ম্যাচে প্রথম গোলটি এনে দিয়ে দলের জন্য অনুপ্রেরণা যোগান ঋতুপর্ণা চাকমা, যিনি বলেন, “ফাইনালের জন্য উদ্যাপনটা তুলে রেখেছি।” তার কথায় ফুটে উঠেছে ফাইনালের জন্য দলটির প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাস।
আরো জানুন …… মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা এবং ইসরায়েলের পরিস্থিতি
Leave a Reply