আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৮ পূর্বাহ্ন
দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ন্ত্রণ করছে সাউথ আফ্রিকা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম চট্টগ্রামে আয়োজিত বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনটি সবার জন্যই বেশ উত্তপ্ত ছিল, আবহাওয়ার প্রভাবেই শুধু নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণেও। প্রথম দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩০৭ রান, যা ব্যাটিংয়ের মানদণ্ডে চমৎকার।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে সকল ক্রিকেটপ্রেমীই প্রায় অভিজ্ঞ; এই মাঠের উইকেট সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক থাকে। ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তাপমাত্রায় প্রচণ্ড রোদে খেলা হওয়ায় বাংলাদেশের বোলারদের পক্ষে কাজটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ব্যাটিংয়ে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলা, তাও আবার মাত্র চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে, বাংলাদেশ দলের জন্য যথেষ্ট কঠিন চ্যালেঞ্জ।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার, এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি, দারুণ শুরুর আভাস দেন। তবে মার্করাম নিজের ভুলে ৩৩ রানে মুমিনুলের হাতে ধরা পড়েন। বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম দিনের শেষ ভাগে উইকেট দুটি নিতে সক্ষম হন, যা কিছুটা হলেও বাংলাদেশকে শুরুর কষ্টের পর স্বস্তি এনে দেয়। ডি জর্জি এবং ত্রিস্তান স্টাবস বাংলাদেশি ফিল্ডারদের কয়েকটি সুযোগ দিলেও বাংলাদেশ তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। এর ফলে ডি জর্জি এবং স্টাবস নিজেদের ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। তাদের মধ্যে ২০১ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে শক্ত ভিত গড়ে দিতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের চারজন বিশেষজ্ঞ বোলারের মধ্যে তাইজুল এবং মিরাজ পুরোপুরি কার্যকরী প্রমাণিত না হলেও তাইজুল শেষ পর্যন্ত ৩০ ওভার বোলিং করেন এবং দিনের দুটি উইকেট নেন। ফিল্ডিংয়ে কিছু মিস বাংলাদেশের জন্য ব্যর্থতা হিসেবে উঠে আসে। উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলাম ও ফিল্ডার সাদমান ইসলাম বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন।
দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ২১১ বলে ডি জর্জির অপরাজিত ১৪১ রানে টিকে থাকা, বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসছে পরবর্তী দিনের জন্য। যদিও বাংলাদেশের বোলারদের নতুন বল ব্যবহারে কিছুটা সুযোগ ছিল, তবে অতিরিক্ত গরমে চারজন বোলার নিয়ে ম্যাচ চালানোতে বাংলাদেশ দলের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরো জানুন ……. জুলাই মাসে ঘটিত এক গণহত্যার ঘটনা নিয়ে জাতিসংঘ একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন
Leave a Reply