আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তাবিথ আউয়াল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের জয় বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ২৬ অক্টোবর, রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তিনি বাফুফের সভাপতি পদে আসীন হয়েছেন। এই নির্বাচনে তাবিথ পেয়েছেন ১২৩ ভোট, যেখানে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন এবং নতুন সভাপতির বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন।
বাফুফের নির্বাচনটি সম্পন্ন হয় ২৬ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত ছিল মোট ১৩৩ জন কাউন্সিলর, কিন্তু তাদের মধ্যে ১২৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের জয়ের ফলে ফুটবল পরিচালনায় একটি নতুন পরিচালনা কমিটির পথ প্রশস্ত হলো, যা আগামী চার বছর বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়ন এবং পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে।
তাবিথ আউয়াল বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়া তৃতীয় ব্যক্তি। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম সভাপতি ছিলেন এসএ সুলতান এবং তার পর কিংবদন্তি ফুটবলার কাজী সালাউদ্দিন টানা চার মেয়াদে সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এই দুই জনের পর তাবিথই প্রথম ব্যক্তি, যিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সভাপতি হয়েছেন। তার জয়ে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে এবং ফুটবলের উন্নয়নে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
তাবিথ আউয়াল নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি দেশের ফুটবলের মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। উন্নত প্রশিক্ষণ, আধুনিক স্টেডিয়াম, এবং ফুটবল ক্লাবগুলোকে সহায়তা করার মাধ্যমে তিনি একটি শক্তিশালী ফুটবল কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন। তার উদ্দেশ্য হলো দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে আরও উন্নত করা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবলের মান বাড়ানো।
নির্বাচনে তাবিথ আউয়ালের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিজানুর রহমান, যিনি মাত্র ৫টি ভোট পান। মিজানুর রহমান নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফুটবল পরিচালনায় নতুন দৃষ্টিকোণ তুলে ধরার আশাবাদী ছিলেন, তবে তাবিথের বিপুল জনসমর্থনের কারণে তার প্রচেষ্টা সফল হয়নি। তাবিথের জয় নিয়ে তিনি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন এবং দেশের ফুটবলের স্বার্থে নতুন সভাপতির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের ফুটবল পরিচালনা এবং উন্নয়নের উদ্দেশ্যে। প্রথম সভাপতি এসএ সুলতান থেকে শুরু করে কাজী সালাউদ্দিনের দীর্ঘ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাফুফে একটি স্থিতিশীল পরিচালনা কাঠামো গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের ফুটবলে কিছু অব্যবস্থাপনা এবং অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরো জানুন ……. বাজার সিন্ডিকেটের কারণে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে
এই নির্বাচনে ১২৮ জন কাউন্সিলরের ভোট প্রদানের মাধ্যমে বাফুফের একটি শক্তিশালী নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। তাবিথ আউয়াল সবচেয়ে বেশি ভোটে জয়ী হওয়ায় ভবিষ্যতে তার নেতৃত্বে দেশের ফুটবলের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হবে বলে আশাবাদী সবাই।
বাংলাদেশের ফুটবল বর্তমানে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অনেক পিছিয়ে থাকলেও তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে এর অগ্রগতির আশা করা হচ্ছে। নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের ফুটবল আরও উচ্চতায় পৌঁছবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply