আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন
ঢাকা, ৫ নভেম্বর – সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন সম্প্রতি ঢাকার আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক দেশ রূপান্তর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩ অক্টোবর আবেদন করার পর, তারা ঘরে বসে আঙুলের ছাপ এবং আইরিশের ছবি জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, ১০ অক্টোবর আঙুলের ছাপ এবং আইরিশের ছবি দেওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখ থাকলেও, শিরীন শারমিন এবং তার স্বামী ঘরে বসেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তবে এ প্রক্রিয়া নিয়ে সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার বলেন, শুধুমাত্র শারীরিকভাবে অক্ষম কিংবা প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি থাকলে ঘরে বসে আঙুলের ছাপ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি কেউ আত্মগোপনে থেকে এই সুবিধা নেন, তবে এটি আইনের লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে।
২০১৮ সালে রংপুরে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন। এ ঘটনায় করা মামলায় শিরীন শারমিন চৌধুরী আসামি হিসেবে উল্লেখ আছেন এবং আত্মগোপনে থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছেন এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
আরো পড়ুন- আমরা কি অপরাধকে সংস্কার করতে পারি না?
শীর্ষস্থানীয় আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় ব্যানার্জি জানিয়েছেন, মামলার আসামি হলেও নাগরিক অধিকার অনুযায়ী শিরীন শারমিন সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন। তার সরকারি দায়িত্বে থাকার সময়ে কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলেও বর্তমানে সাধারণ পাসপোর্ট পাওয়াটা আইনত স্বাভাবিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি সংবেদনশীল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পাসপোর্ট অনুমোদন করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন, কারণ তিনি বিদেশে চলে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন বলে মন্তব্য করেন।
পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ধানমন্ডিতে শিরীন শারমিনের ঠিকানায় অনুসন্ধান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফ্ল্যাটটির রক্ষণাবেক্ষণকারী শাহাবুদ্দীন জানান, তিনি কখনো তাদের সেখানে আসতে দেখেননি।
এ ঘটনায় শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং তার পরিবারের নিরাপত্তা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, এবং আইন ও অধিকার সম্পর্কিত আলোচনা আরও তীব্র হয়েছে।
Leave a Reply