আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ সোমবার রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ডিবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে যে, তাঁকে আটক করার পেছনে কারণ হচ্ছে, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ঘটে যাওয়া লাশ পোড়ানোর ঘটনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডিবির সূত্রে আরও জানা গেছে, ওই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল কাফীর সম্পৃক্ততার ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) রবিউল হোসেন ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ‘আশুলিয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হওয়ায় আবদুল্লাহিল কাফীকে ডিবিতে আনা হচ্ছে, যদিও তাঁকে এখনো পাওয়া যায়নি।’
একটি ভিডিও, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা গেছে, একজন ব্যক্তি পুলিশের হেলমেট ও সাদাপোশাকের ওপর ভেস্ট পরিহিত অবস্থায়, আরেকজনের সহযোগিতায়, নিথর এক যুবকের দুই হাত ধরে ভ্যানে তুলে দিচ্ছেন। সেই ভ্যানে আরও কিছু নিথর দেহ স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
তাদের দেহ থেকে ঝরে পড়া রক্তে সড়কের কিছু অংশ ভিজে গেছে, এবং বিছানার চাদরের মতো একটি কাপড়ে তাদের ঢেকে রাখা হয়েছে। সেখানে পুলিশের হেলমেট ও ভেস্ট পরা আরও কয়েকজনকে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটির দৈর্ঘ্য ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ড এবং এটি সাভারের আশুলিয়া থানা-সংলগ্ন এলাকার বলে মনে করছেন অনেকে। এএফপির ফ্যাক্ট চেকিং এডিটর কদরুদ্দীন শিশির তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে উল্লেখ করেছেন যে, ঘটনাটি ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার কাছাকাছি এলাকায় ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলি চালায়, যাতে বেশ কয়েকজন নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন। ঐ রাতে আশুলিয়া থানার অদূরে নবীনগর থেকে চন্দ্রাগামী মহাসড়কের পাশে আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি পিকআপের ভেতর অন্তত দুটি মরদেহ পাওয়া যায়।
এছাড়া থানার সামনে আগুনে পোড়া একটি মরদেহ ছিল এবং পদচারী-সেতুতে উল্টো করে ঝোলানো অবস্থায় দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয়রা তখন আশঙ্কা করেছিলেন যে আরও লাশ পিকআপে থাকতে পারে। ওই রাতে আশুলিয়া থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
Leave a Reply