আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
ডোনাল্ড ট্রাম্প ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন দুই মাস পর। এই দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অভিবাসন ইস্যুতে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রিপাবলিকান এ নেতা অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে
কঠোর নীতি গ্রহণ এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানবিক অভিবাসন প্রকল্প বাতিলের পরিকল্পনা করছেন। এই নীতিগত পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থার ওপর বিশাল প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাহী আদেশ ও কঠোর অভিবাসন নীতি:
রয়টার্সের সূত্র মতে, ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই কয়েকটি নির্বাহী আদেশ দেবেন, যা আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা অভিবাসীদেরও গ্রেফতারের ক্ষমতা বাড়ানো হবে এবং মেক্সিকো সীমান্তে সেনা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়া, সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে, যা ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সি কালেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল।
জো বাইডেনের অভিবাসন নীতির বাতিল:
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, জো বাইডেনের মানবিক প্রকল্পগুলো বন্ধ করা হবে, যা বহু অভিবাসীর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে প্রবেশের পথ খুলেছিল। বাইডেন প্রশাসন আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের জন্য মানবিক প্রকল্প চালু করেছিল, যা অবৈধ অভিবাসন রোধে কার্যকর ছিল। ট্রাম্পের নতুন নীতির ফলে এসব প্রকল্প বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন- আলুর দাম আকাশচুম্বী, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সিন্ডিকেটবিরোধী পদক্ষেপ
ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা:
ট্রাম্প প্রশাসন তাদের অভিবাসন নীতিতে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিবাসীদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেবে। বিভিন্ন দেশের বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এই নীতির আওতায় আসতে পারেন, যারা মার্কিন ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
কোল্ড স্টোরেজ এবং সিন্ডিকেটের প্রভাব:
গত বছরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়র্ক, শিকাগো, ও ডেনভারের মতো শহরগুলোতে তাদের জন্য আশ্রয় প্রদান করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। অভিবাসীদের আবাসন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে শহরগুলোতে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
ভবিষ্যৎ:
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে।
Leave a Reply