আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পরিণত হয়েছে এক বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনস্থলে। এ সম্মেলনে তিল ধারণের জায়গা নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, রমনা পার্ক, এবং উদ্যানের চারপাশের প্রতিটি সড়কজুড়ে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। এ সম্মেলনটি দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামাদের উপস্থিতিতে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
সকাল ৯টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও ভোর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো আলেম-ওলামা এবং সাধারণ জনগণের ভিড় জমতে শুরু করে। বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদ, এবং ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতিতে উদ্যানের প্রতিটি কোণ পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এই মহাসম্মেলনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ইসলামি শিক্ষা ও নৈতিকতা নিয়ে আলোচনা এবং মুসলিম সমাজে ঐক্যের গুরুত্ব প্রচার। সম্মেলনের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার শীর্ষ আলেমরা একের পর এক বক্তব্য দিয়ে উপস্থিত সবার
মধ্যে ইসলামের মূল আদর্শ, সামাজিক দায়িত্ব, এবং নৈতিক মূল্যবোধের প্রতি আহ্বান জানান। তারা ইসলামী ঐতিহ্য, ধর্মীয় সহাবস্থান ও শান্তির বার্তা তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন- ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে প্রশ্নবিদ্ধ সাকিবের বোলিং অ্যাকশন, ইংল্যান্ডের কাউন্টি কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণ
এ সম্মেলনে উপস্থিত দেশের বিশিষ্ট আলেমদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন:
এছাড়াও এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা নুরুল ইসলাম, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, মাওলানা আবু তাহের নদভীসহ আরো বিশিষ্ট আলেমরা।
সম্মেলনস্থলে লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে, যারা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই ইসলামি মহাসম্মেলনে অংশ নিতে এসেছে। এই মহাসম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, এবং রমনা পার্কের চারপাশ পুরোপুরি
রূপান্তরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতরে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে লাখো মানুষ ধৈর্যসহকারে দেশের শীর্ষ আলেমদের বক্তব্য শুনছেন।
প্রতিটি বক্তার বক্তব্যে সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ, শান্তি প্রতিষ্ঠা, এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য প্রতিষ্ঠার বার্তা উঠে এসেছে। আলেমরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইসলাম ধর্মের প্রকৃত আদর্শ মানুষের সেবা, মানবিক গুণাবলির চর্চা, এবং সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।
সম্মেলনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়:
মহাসম্মেলনে উপস্থিত জনতা ধর্মীয় আলোচনা শুনে বেশ তৃপ্তি প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এমন ইসলামি মহাসম্মেলন শুধু ইসলামি জ্ঞান ও ধর্মীয় আদর্শ প্রচারে সীমাবদ্ধ না থেকে একটি সুস্থ সামাজিক পরিবেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
Leave a Reply