আজ সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব বারবারই দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দামও এর অন্যতম উদাহরণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম ৭০-৭৫ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কোল্ড স্টোরেজে থাকা আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও, সিন্ডিকেটের কারসাজিতে কার্যকর ফলাফল দেখা যাচ্ছে না।
সরকারের উদ্যোগ এবং বাজারের চিত্র
সরকার ভোক্তা অধিদপ্তর ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে, যাতে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এছাড়া, আলু আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কও কমানো হয়েছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর এনবিআর এক প্রজ্ঞাপনে ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশে নিয়ে এসেছে।
তবে, এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও দাম কমেনি। বরং আমদানি করা আলুও দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, উৎপাদক পর্যায়ে আলুর দাম সর্বোচ্চ ১৯ টাকা ৪৮ পয়সা এবং পাইকারি বাজারে তা ২৩ টাকা ৩০ পয়সায় থাকার কথা। কিন্তু খুচরায় দাম উঠেছে ৭০-৭৫ টাকায়।
আরো পড়ুন- ভারতকে সরিয়ে দিলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না: ফিরহাদ হাকিম
সিন্ডিকেটের ভূমিকা ও ভোক্তাদের দুর্দশা
অসাধু ব্যবসায়ীরা আলুর দাম বাড়িয়ে রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজে আলু মজুদ করছে। বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানোর জন্য তারা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া মনে করেন, এই সিন্ডিকেটের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পর্যাপ্ত পদক্ষেপ প্রয়োজন। তবে জেলা পর্যায়ের প্রশাসনগুলো এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের পরিকল্পনা
সরকারের বিভিন্ন সংস্থা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটর করছে, তবে কার্যকর কোনো সমাধান এখনও দেখা যাচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আলু সিন্ডিকেটকে মোকাবিলায় সরকারের কৌশলগুলো আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমানে দেশের বাজারে আলুর দাম যে অবস্থায় রয়েছে, তা সাধারণ মানুষের জন্য অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
Leave a Reply